টানা দুই দিন অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকার কারণে নেত্রকোণার কলমাকান্দায় নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চাল। পানির তীব্র স্রোতে কিছু গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গেছে। ধসে গেছে কয়েকটি ঘরবাড়ি। এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ডুবে বারান্দায় উঠেছে পানি।
আজ রবিবার বিকেলে উপজেলার প্রধান নদী উব্দাখালীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার মধ্য রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কলমাকান্দায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭২ মিলিমিটার।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কলমাকান্দা উপজেলার নয়াপাড়া, মুক্তিচর, বিশরপাশা, হরিপুর চকবাজার, আনন্দপুর, খারনৈ, বাউশাম, বরুয়াকোনা, রংছাতি পাকা সড়কের ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কলমাকান্দা সদরসহ লেংঙরা, খারনৈ, রংছাতি নাজিরপুর, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, পানিবন্দি হয়েছে উপজেলার হাজারো মানুষ। পাশাপাশি তলিয়ে গেছে শতাধিক পুকুর, আউশ ফসল, রোপা, আমন ফসল, রবিশস্যসহ বীজতলা।
অতি বর্ষণের কারণে সীমান্তবর্তী উব্দাখালী নদীসহ গনেশ্বরী, মঙ্গলেশ্বরী, মহাদেও নদ, মহেষখলা নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কলমাকান্দা সদরের সঙ্গে চারটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অপরদিকে কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের মুক্তিচর, নয়াপাড়া, চাঁনপুর, চান্দুয়াইল, সাউদপাড়া, শালজান, খাসপাড়া, চিনাহালা, নয়ানগর, নাগিনী চারিকুমপাড়া, বিশরপাশা, খারনৈ ইউনিয়নের মেদিরকান্দা, রুদ্রনগর রামভদ্রপুর বাউশাম, রংছাতি ইউনিয়নের রামনাথপুর, বিশাউতি, রায়পুর, কৃষ্টপুর বরকান্দা, জঙ্গলবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলে রোপণকৃত ধানের চারা ও সবজি ফসলসহ জমি তলিয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। তিন দিনের ভেতরে পানি কমে গেলে রোপা আমন ধানের ক্ষতি কম হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে পরিস্থিতি খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে উপজেলা প্রশাসন।